অক্টোবর ৩, ২০১৯
জালিয়াতির মাধ্যমে ডিডের চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় জালিয়াতির মাধ্যমে ডিডের চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করে অবৈধভাবে ভবন দখলে রাখার উদ্দেশ্যে মালিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ, মামলা এবং নিজেরা মালামাল সরিয়ে মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালী বাগমারা এলাকার মৃত শেখ ফজিয়ার রহমানের ছেলে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাটকেলঘাটা বাজারে আমার ‘শহিদ রিফাত প্লাজা’ নামক ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে। বিগত ২০১৩ সালের ১ আগস্ট কুমিরা এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার গোলাম রসুল ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য উক্ত ভবনের নীচতলা ভাড়া নিতে চাইলে একজন লেখক ও ৫ জন সাক্ষীর সম্মুখে ৬ বছর মেয়াদে স্ট্যাম্পে লেখা পড়া করে তার কাছে ভাড়া দেই। ভাড়া নেয়ার কিছুদিন পর ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য তার কোন যন্ত্রপাতি না থাকায় তা ক্রয় করার জন্য আমার সহযোগিতা চাইলে আমি সরল বিশ্বাসে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে গত ২০১৬ সালের ৬ মে ১৫লক্ষ টাকা যন্ত্রপাতি বন্ধক হিসেবে ৩ বছর পর পরিশোধের শর্তে প্রদান করি। পরে ওই ১৫লক্ষ টাকা পরিশোধের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি তা পরিশোধ করেননি। এদিকে, ডিডের চুক্তিপত্রে মেয়াদ লেখা ছিল ৬ ছয় বৎসর। সুচতুর গোলাম রসুল জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ‘৬’ এর পূর্বে ১ যোগকরে ১৬ বছর এবং কথায় ‘ছয়’ লেখাটি ষোলো করেন। ইতোমধ্যে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি তার জালিয়াতি করা ডিডটি প্রদর্শন করে ভবন না ছাড়ার চক্রান্তে লিপ্ত হন। আমি কোন উপায় না পেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনটি লিগ্যাল নোটিস প্রদান করি। যার প্রথম নোটিসের জবাবে চুক্তির মেয়াদ ৬ বছর স্বীকার করলেও পরবর্তীতে চুক্তি পত্রের মেয়াদ ১৬ বছর দাবি করে। তখন আমি পাটকেলঘাটা বাজার কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে, সেখানে গোলাম রসুল তার ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ জালিয়াতির মাধ্যমে ৬ থেকে ১ যোগ করে ১৬ বছর করেছেন মর্মে স্বীকার করেন। যা বাজার কমিটির প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এরপরও কুচক্রী গোলাম রসুল আমার ভবন না ছেড়ে র্যাব ক্যাম্প, সহকারী পুলিশ সুপার (তালা সার্কেল) পাটকেলঘাটাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এ সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পরে আদালতে আমার বিরুদ্ধে একটি সিআরপি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বিভিন্ন লোকের ভবন ভাড়া নিয়ে একই কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এরই জের ধরে গত বুধবার (২ অক্টোবর) গোলাম রসুলের পুত্র সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার পিতা গোলাম রসুল ও মাতা হুমায়রা খাতুনকে মারপিট করে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি লুট-পাট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওই দিন সেখানে কোন ধরনের মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ২ মাস জোরপূর্বক গোলাম রসুল ভবন ব্যবহার করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি (রফিকুল) পর-সম্পদ লোভী গোলাম রসুল কর্তৃক মিথ্যা হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে ও তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 8,587,997 total views, 4,683 views today |
|
|
|